

বুধবার ● ৬ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » পাইকগাছায় চার ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের মিনহাজ নদী পরিদর্শন
পাইকগাছায় চার ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের মিনহাজ নদী পরিদর্শন
পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার ৪ ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে মিনহাজ নদী পরিদর্শন করেছেন পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীম এর তত্ত্বাবধানে কর্মকর্তাবৃন্দ বুধবার সকালে মিনহাজ নদী পরিদর্শন এবং এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত এবং সমাধানে করণীয় বিষয় নির্ধারণ করেছেন। খাল খনন ও স্লুইচ গেট সংস্কারসহ নির্ধারিত বিষয়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হলে বৃহৎ এলাকার জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে সমাধান হবে বলে মনে করছেন পরিদর্শন টিম।
উপজেলার বদ্ধ নদ-নদীর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী মিনহাজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। পাইকগাছা ও কয়রার ৪ ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীটি। পাইকগাছার গড়ইখালী, লস্কর, চাঁদখালী ও কয়রার আমাদীসহ ৪ ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশন এই নদী দিয়ে। বর্তমানে বদ্ধ নদীটি ৬ বছর মেয়াদি ইজারা চলমান রয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসলেই মিনহাজ নদীর আশেপাশের এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। চলতি বছর ও তার ব্যতিক্রম নয়। এলাকাবাসীর মতে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর জলাবদ্ধতার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বীজতলা, সবজি ও আমন ফসল উৎপাদন। ইতোমধ্যে এলাকাবাসী জলাবদ্ধতা নিরসনে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিত এসিল্যান্ডসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ সরেজমিন মিনহাজ নদী পরিদর্শন এবং ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত এবং করণীয় নির্ধারণ করেন। কর্মকর্তাবৃন্দ এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে, নৌযান যোগে নদীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সহকারী কমিশনার ভূমি ইফতেখারুল ইসলাম শামীম বলেন, শুধু ইজারাদারের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে না। অনেক গুলো সমস্যা রয়েছে যার মধ্যে নদীর কিছু কিছু অংশ বন্দোবস্ত দেওয়া রয়েছে। সেসব জায়গা বাঁধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করায় নদীর প্রস্থ এবং প্রবাহ কমে গেছে, স্লুইচ গেটের সামনের দিকে পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া পুরাতন স্লুইচ গেটের পানি সরবরাহ ধারণ ক্ষমতা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম এবং বৃহৎ এলাকার পানি সরানোর জন্য যে সক্ষমতা প্রয়োজন সেটা এই নদীর নাই। তিনি বলেন খাল খনন, স্লুইচ গেট সংস্কার, চাঁদখালী ও লস্করের স্লুইচ গেট গুলো সচলসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলে অত্র এলাকার জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে সমাধান করা সম্ভব হবে।
এসময় অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন, সদস্য উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ একরামুল হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু, লস্করের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সানা, ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই আহাদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি আবু তাহের গাজী, ইউপি সদস্য টিএম হাসানুজ্জামান, সাবেক ইউপি সদস্য আক্কাস আলী ঢালী, জামায়াত নেতা মাওলানা মোজাফফর হোসেন, আসমাতুল্লাহ শিকারী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও ইজারাদার আব্দুল্লাহ আল নাঈম বাপ্পি প্রমুখ।