

বুধবার ● ১৫ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » বিবিধ » ১২০কোটি টাকা ব্যয়ে পাইকগাছায় কড়ুলিয়া সেতু’র প্রায় ৬০ ভাগ কাজের অগ্রগতি
১২০কোটি টাকা ব্যয়ে পাইকগাছায় কড়ুলিয়া সেতু’র প্রায় ৬০ ভাগ কাজের অগ্রগতি
খুলনার পাইকগাছার লস্করে কড়ুলিয়া নদীর উপর ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৪৮.৯ মিঃ দৈর্ঘ্য সেতু’র নির্মান প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পে’র নির্মান কাজ ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ ভাগ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। কোন প্রতিবন্ধকতা না হলে নিদিষ্ট মেয়াদে ২৬ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ হলে সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত শুরু হলে উপকূলীয় অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, সুন্দরবন ঘেষা দু’উপজেলা কয়রা-পাইকগাছা’র সাথে অল্প সময়ে জেলা সদর খুলনায় যোগাযোগের জন্য পাইকগাছার লস্কর ইউপি’র বাইনতলায় কড়ুলিয়া নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মান প্রকল্প গ্রহন করা হয়। প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন হয় বিগত ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর। এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মান প্রকল্প-১পাট এর আওতায় ১শ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে-৭৪৮ মিঃ দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন এনডিই কোম্পানী লিঃ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর( এলজিইডি) এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নির্মান প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগুচ্ছে এবং সেতুর দু’পারে লস্কর ও খড়িযায় ৩শ মিঃ সংযোগ সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহনের কাজ প্রক্রিয়াধীন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শাফিন শোয়েব জানান, এ সেতুটি’তে ২৪০ পাইলের মধ্যে এরই মধ্যে ২৩২টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরসিসি স্প্যান থাকবে-২৫ টি ও নদীর মাঝখানে থাকবে ৭৫ মিটারের একটি স্টীলের স্প্যান।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এনডিই’র প্রকল্প ম্যানেজার মোঃ সাহেব আলী জানান, আমরা সিডিউল মতে নদী শাসনসহ প্রকল্পের এ পর্যন্ত ৬০ ভাগ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। কোন প্রতিবন্ধকতা না হলে তিনি নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
স্থানীয়রা জানান,কড়ুলিয়া নদীর উপর ব্রীজটি নির্মিত হলে নদী পারাপারে আর নৌকা থাকবেনা অন্যদিকে ভোগান্তিও দুর হবে । এতে উপকূলের মানুষের অর্থনীতি ও পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এলাকার মানুষের আয়ের উৎস্য বিশেষ করে মৎস্য সম্পদ ও কৃষি পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহনে সহজ হবে। জেলা-উপজেলা সদরের অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ও যে কোন দুর্যোগকালে নিরাপদে যাতায়াত সহজ হবে। অন্যদিকে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও ভবিষ্যতে সেতু এলাকায় পর্যটন শিল্প প্রকল্পের সম্ভাবনা রয়েছে।