

মঙ্গলবার ● ২১ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » লতিকচু চাষে আলোর মুখ দেখছেন রফিকুল
লতিকচু চাষে আলোর মুখ দেখছেন রফিকুল
মাগুরা প্রতিনিধি : লতিকচু চাষে আলোর মুখ দেখেছেন শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের কুশখালি গ্রামের রফিকুল ইসলাম। এ বছর প্রায় লক্ষাধিক টাকার লতিকচু বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন।
প্রান্তিক এ কৃষক রফিকুল জানান, এ বছর ৭৩ শতক জমিতে তিনি লতিকচু চাষ করেছেন। এবার জমিতে আশানুরুপ ফলন হওয়ায় তিনি খুব খুশি। বৈশাখ -জৈষ্ঠ মাসে জমি ভালোভাবে চাষ দিয়ে লতি কচুর আবাদ করতে হয়। দুই মাস পর চারা গাছ বড় হলে জমিতে পানির সেচ দিতে হয়। লতি কচু চাষে কাদা দোআঁশ মাটিতে করলে ভাল হয়। লতি কচু চাষে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির দরকার হয়। পানি কম হলে কচুর বৃদ্ধি পায় না। তাই নিয়মিত সেচ দেওয়ার পাশাপাশি পানির বেশি প্রয়োজন হয়।
তিনি আরো জানান, গত বছর আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় আমার এ চাষ নানা ভাবে ব্যাহত হয়েছিল। উৎপাদন খরচের তুলনায় ফলন ভালো না হওয়ায় কোন সফলতা পাইনি। চলতি বছর আমার ৭৩ শতক জমিতে চাষ হয়েছে। এতে মোট উৎপাদন খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। আশা করছি এ বছর ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার লতি কচু বিক্রি করব। লতি কচু চাষে বেশ পরিশ্রম আছে । লতি কচু উত্তোলনের সময় জমিতে ৫ থেকে ৬ জন শ্রমিক নিয়োগ করতে হয়। জমি কাদাপূর্ণ হওয়ায় মাটির নিচ থেকে কচু উত্তোলন করতে হয়। অনেক সময় শ্রমিক না পাওয়ার কারণে জমি থেকে কচু উত্তোলন করতে পারি না। কারণ অনেক শ্রমিক কাদার মধ্য থেকে উত্তোলন করতে চায় না। কচু উত্তোলন শেষে তা ময়লা পরিষ্কার করে ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে নিতে হয়। কচুর উপরের অংশে সে লতি থাকে সেটা আলাদা করতে হয়। তারপর কচু এবং লতি দুইভাবে আমরা বিক্রি করি। সাধারণত কার্তিক মাসের শেষের দিকে আমরা কচু উত্তোরণ করি।
তিনি আরো জানান, এ চাষে কৃষি বিভাগ থেকে এখনো পর্যন্ত আমরা কোন সহযোগিতা পাইনি। নিজের চেষ্টাও পরিশ্রমে আমরা এই চাষ করি। গ্রামের অধিকাংশ চাষী এ কচু চাষে আগ্রহী কম । তবে বর্তমানে গ্রামের অনেক চাষী লতিকচু চাষ করছে। কচুর লতি খেতে খুবই ভালো এবং স্বাস্থ্যকর। আমরা মাগুরার বিভিন্ন হাটবাজারে এ কচু ও লতি পাইকেরী মহাজনদের কাছে বিক্রি করি। আবার অনেক সময় অনেক মহাজন জমিতে এসে কচুর লতি ও কচু সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
জেলার কৃষিবিভাগ বলছে, লতি কচু চাষ জেলায় খুবই কম তবে জেলার শ্রীপুর, শালিখা উপজেলায় এ চাষ বেশি হয়। আমরা এই চাষে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।