শনিবার ● ১ নভেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস উৎসব ৩ নভেম্বর থেকে শুরু
সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস উৎসব ৩ নভেম্বর থেকে শুরু
সুন্দরবনের দুবলার চরে ৩দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৫ নভেম্বর শেষ হবে। পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীরা উৎসবে অংশ নিতে রওনা দিয়েছে। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পূণ্যস্নান ও পূজা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বিগত বছরের মতো এবারও বনবিভাগসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়েছেন নানা পদক্ষেপ।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রাচীন সমুদ্র রাস উৎসব সুন্দরবনের সাগরদুহিতা দুবলারচরে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে রাস উৎসবে পুর্ণিমা তিথিতে চরে নির্মিত মন্দিরে নামযজ্ঞ, রাধাকৃষ্ণ, কমল কামিনি ও বনবিবির পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছর কার্তিক বা অগ্রহায়ন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জোয়ারের লোনা পানিতে স্নানে পাপ মোচন হয়ে মনের বাসনা পূর্ণ হবে এমন আশা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা এ মেলায় যোগ দেয়। এ ছাড়া কেউ আসে সস্তান কামনায়, কেউ আসেন রোগ মুক্তির কামনায়। আগামী ৫ নভেম্বর পূর্ণিমার জোয়ারের লোনা পানিতে পূণ্য স্নানের মধ্য দিয়ে এ পূজার সমাপ্তি হবে।
পূজা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন ও দর্শনার্থীদের চলাচলে নিরাপত্তার জন্য বনবিভাগ পূর্বের ৫টি রুট বহাল রেখেছেন। রুটগুলো হলো ঢাংমারী ও চাঁদপাই স্টেশন তিনকোনা আইল্যান্ড হয়ে দুবলারচর আলোরকোল, বগী-বলেশ্বর সুপতি স্টেশন নকচিখালী শেলারচর হয়ে দুবলারচর আলোরকোল, বুড়ি গোয়ালিনী ও কোবাদক বাটুলা নদী বল নদী-পাটকোস্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর আলোরকোল, কয়রা কাশিয়াবাদ খাসিটানা বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী মরজাত নদী হয়ে দুবলারচর আলোরকোল, নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা মরজাত হয়ে দুবলারচর আলোরকোল।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও তীর্থ যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের নির্ধারিত রুটগুলোতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর র্যাব, কোষ্টগার্ড, পুলিশ, বনকর্মীরা ও নৌবাহিনীর বেশ কয়েকটি টিমের টহল জোরদার থাকবে। অনুষ্ঠানে শুধু মাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই যেতে পারবে। অন্য কোন ধর্মের লোক যেতে পারবে না। পূণ্যার্থীদের অবশ্যই নিজ নিজ জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল ও ফটোকপি সাথে রাখতে হবে এবং বনে প্রবেশের সময়ে বন বিভাগের অফিসে ফটোকপি জমা দিতে হবে। পূণ্যস্নান উপলক্ষে পূণ্যার্থীদের আগামী ৩ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৩দিনের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে ৩ নভেম্বর সকাল ৮টার থেকে বর্নিত রুটসমূহ হতে পূণ্যার্থীদের ট্রলার ছেড়ে যাবে। এর আগে কেউ যেতে পারবে না। দুবলায় অবস্থিত বন বিভাগের কন্ট্রোল রুমে অবশ্যই রিপোর্ট করতে হবে। আর পূণ্যার্থীদের প্রবেশের সময়ে প্রতিটি এন্ট্রি পয়েন্ট যথা ঢাংমারি, চাঁদপাই ও শরণখোলা স্টেশন। এসব স্থান থেকে লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকার প্রবেশের মূল্য, অবস্থান ফি, ক্যামেরা এবং লোকের সংখ্যানুযায়ী বিধি মোতাবেক রাজস্ব দাখিল করে পারমিট ও প্রবেশ কুপন নিতে হবে। তবে কোন জলযানে ৫০ জনের বেশি যাত্রী নিতে পারবে না। পারমিট ছাড়া কেউ বনে প্রবেশ করতে পারবে না। পূণ্যার্থীদের স্নান শেষে একই রুট দিয়ে ফিরতে হবে এবং পূর্বের স্টেশনে পাশ সমার্পন করে বের হয়ে যাওয়ার সনদপত্র নিতে হবে। অসাধু দর্শনার্থীরা কেউ যাতে বনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার করতে না পারে তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।






শুঁটকি মৌসুমে দুবলারচরে জেলেদের উৎসব
সুন্দরবনে শামুক নিধনে হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য
পূর্ব সুন্দরবনে তিন মাসে ১৪৮ জেলে আটক, ফাঁদসহ ২৪২ টি ট্রলার ও নৌকা জব্দ
৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে সুন্দরবনের দ্বার
উপকূলীয় গোলফল বিক্রি হচ্ছে ; অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলছে
সুন্দরবন সুরক্ষা ও বনায়নে অবদানের জন্য মোস্তফা নুরুজ্জামানকে উপকূলবন্ধু সংবর্ধনা
বিষের ফাঁদ পেতে মাছ শিকার; হুমকিতে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র
সুন্দরবনে অস্ত্রসহ আসাবুর বাহিনীর দুই সহযোগী আটক
সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী চোরা শিকারীরা বনের সম্পদ ধ্বংস করছে 