শিরোনাম:
পাইকগাছা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
মঙ্গলবার ● ৩ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » আমের গুটিতে দোল খাচ্ছে আম চাষীর স্বপ্ন
প্রথম পাতা » কৃষি » আমের গুটিতে দোল খাচ্ছে আম চাষীর স্বপ্ন
৬৩৯ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ৩ এপ্রিল ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আমের গুটিতে দোল খাচ্ছে আম চাষীর স্বপ্ন

---
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
আম গাছের মুকুলের ডগায় ডগায় উুঁকি দিচ্ছে আমের গুটি। দিন দিন বড় হচ্ছে আমের গুটি। বাগানে আমের গুটি দেখে আনন্দে আত্মহারা বাগান মালিক ও চাষী। আমের গুটিতে দোল খাচ্ছে আম চাষীর স্বপ্ন। নানা জাতের আম, স্বাধ এবং রংবেরঙের আমের রং লেগেছে চাষীর মনে। সোনালী এই স্বপ্ন পূরণে চাষীরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে মনে রয়েছে শংঙ্কা, বৈশাখের তান্ডব, বৃষ্টি, ঝূর্নিঝড় ও শীলা বৃষ্টি আমের শত্র“। প্রকৃতির সাথে মিতালী করে চাষীরা সোনালী স্বপ্ন বুকে ধারণ করে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষীরা।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানাগেছে, উপজেলায় ৫৮৫ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। ফলনশীল গাছের সংখ্যা ১৪ হাজার ১৮০টি। তাছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে ছড়ানো ছিটানো আম গাছ রয়েছে। এলাকায় স্থানীয় জাতের পাশাপাশি আম রূপালী, হিম সাগর, গোপাল ভোগ, বোম্বাই লতা, মল্লিকা, ল্যাংড়া, ফজলি সহ বিভিন্ন জাতের আম বাগানের সংখ্যা বেশি। তবে এ এলাকার গদাইপুরের বোম্বাই লতার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। বাগান গুলোতে আমের মুকুল থেকে যে পরিমান গুটি ধরেছে তাতে করে প্রচুর ফলনও হবে আমের এমনটা আশা করছেন চাষীরা। গদাইপুর গ্রামের আম চাষী মোবারক ঢালী জানান, গাছে মুকুল আশার আগের থেকে বাগান পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুল আশার পরে ও আগে দু-দফা ছত্রাক নাশক স্প্রে করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কীটনাশক ব্যবহার করা লাগছে না। তবে বৃষ্টি হলে ছত্রাকনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে। বাগান মালিক মনিরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম জানান, গাছে মুকুল আসার পর থেকে বাগান পরিচর্যা শুরু করেছেন। এবার মুকুল থেকে প্রচুর পরিমাণ গুটি ধরেছে। বৃষ্টি হলে ছত্রাকজনিত রোগে আমের গুটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বৃষ্টি হলে রোগবালাইয়ের আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় ঔষধ ¯েপ্র করা হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আমের বাম্পার ফলন আশা করছেন চাষীরা। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর আম গাছে প্রচুর পরিমাণ মুকুল এসেছে। এ সব মুকুল থেকে আমের সর্বোচ্চ ফলন পেতে কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি। এ বছর আম বাগান থেকে ২২ হাজার ১৮০ মেট্রিকটন আমের ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমের বাম্পার ফলন থেকে আম বাজারজাত করে কৃষকরা লাভবান হবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন পর্যন্ত আমে কোন বিপর্যয় দেখা দেয়নি। আবহাওয়া এমন থাকলে পাইকগাছার আম চাষীরা বাম্পার ফলন পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)