শিরোনাম:
পাইকগাছা, সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ৭ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » বিবিধ » কেশবপুরে কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি
প্রথম পাতা » বিবিধ » কেশবপুরে কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি
২৮৮ বার পঠিত
শনিবার ● ৭ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কেশবপুরে কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

---

এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর থেকে:

যশোরের কেশবপুরে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের মানুষ। গত কয়েক দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকে উপজেলার ভান্ডারখোলা, চুয়াডাঙ্গা, মধ্যকুল ও আলতাপোল গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের প্রায় সহশ্রাধিক মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তারা। বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় গৃহবধূদের রান্নাবান্নায়ও পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। পানির ভেতর কাজকর্ম করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই মানুষের হাত পায়ে চুলকানি শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ধারণা করছে, পানিবন্দি এলাকাগুলোতে ডেগুর প্রভাব বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে জানাগেছে, অপরিকল্পিত মাছের ঘের তৈরীর কারণে পানি নিষ্কাশিত হতে না পারায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে মানুষের বাড়ি ঘরে উঠে এসেছে। এ কারণে পানিবন্দি মানুষের মাঝে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। পানিবন্দি ওই এলাকার গৃহবধূ রিমা খাতুন বলেন, পানি তাদের রান্নাঘরে ঢুকে পড়ায় বড় ঘরের বারান্দায় আলো চুলা তৈরি করে রান্না করতে হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা গ্রামের নয়ন অধিকারী বলেন, দীর্ঘ বছর পর আবারও তাদের পানিবন্দি হয়ে পড়তে হয়েছে। পানিতে শাকসবজি, গাছ-গাছালি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ওই এলাকার ঈদগাহ মাঠ ও এতিমখানার মাঠও পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ভুক্তভোগী রজব আলী বলেন, এলাকায় অপরিকল্পিত মাছের ঘের গড়ে ওঠায় বৃষ্টির পানি ঠিকমতো নিষ্কাশিত হতে পারে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, বৃষ্টির পানি বের হতে না পেরে ওই এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন বলেন, পানিবন্দি এলাকায় ডেগুর পাশাপাশি পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ যশোরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, যশোর-চুকনগর সড়কের যে স্থান দিয়ে পাইপের মাধ্যমে ওই এলাকার পানি নিষ্কাশিত হতো সেটি আগে থেকেই নষ্ট হয়ে ছিল। দ্রুত ওই স্থানে একটি স্টিলের পাইপ স্থাপন করে পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)