শিরোনাম:
পাইকগাছা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ন ১৪৩২

SW News24
সোমবার ● ১৮ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় বছরে ২৭ হাজার মেট্রিক টন মৎস্য উৎপাদন; জাতীয় অর্থনীতিতে রাখছে অবদান
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় বছরে ২৭ হাজার মেট্রিক টন মৎস্য উৎপাদন; জাতীয় অর্থনীতিতে রাখছে অবদান
১৪২ বার পঠিত
সোমবার ● ১৮ আগস্ট ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় বছরে ২৭ হাজার মেট্রিক টন মৎস্য উৎপাদন; জাতীয় অর্থনীতিতে রাখছে অবদান

---খুলনার পাইকগাছায় মৎস্য উৎপাদন ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে মৎস্য চাষিরা। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে উপকূলীয় মৎস্য চাষিরা। রোগ বালাইসহ বৈশ্বিক নানা সংকটের মধ্যে ও উৎপাদন বৃদ্ধি, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এখানকার মৎস্য চাষিরা। মৎস্য দপ্তরের তথ্য মতে, এ এলাকায় বছরে উৎপাদন হচ্ছে ২৭ হাজার মেট্রিক টন মৎস্য। যার মধ্যে চিংড়ী, সাদা মাছ, কাঁকড়া ও কুচিয়া অন্যতম।

৮০’র দশকে উপকূলীয় এ অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভাবে শুরু হয় সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ী চাষ। সুন্দরবন সংলগ্ন এ অঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়। ফলে এ অঞ্চল মৎস্য চাষের জন্য সমৃদ্ধ হওয়ায় চিংড়ী চাষ ব্যবস্থা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সবাই এগিয়ে আসতে থাকে চিংড়ী চাষে। বিগত ৪ দশকের ব্যবধানে এ অঞ্চলের বেশির ভাগ মৎস্য চাষ এবং সংশ্লিষ্ট এ খাতের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। যদিও শুরুটা যতটা সহজ ছিল, এখন অতটা সহজ নেই চিংড়ী চাষ ব্যবস্থা। সময়ের সাথে সাথে একদিকে যেমন বেড়েছে রোগ বালাই সহ নানা সমস্যা। তেমনি চাষ ব্যবস্থায় ও এসেছে কিছুটা পরিবর্তন। আগে সনাতন পদ্ধতি, এখন উন্নত সনাতন ব্যবস্থাসহ চিংড়ী কিংবা মৎস্য চাষে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করছে চাষিরা। ফলে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ও মৎস্য চাষ ব্যবস্থা কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এখানকার চাষিরা। প্রশিক্ষণ ও পরামর্শসহ চাষিদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করছে মৎস্য দপ্তর ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। যদিও চিংড়ী চাষের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং  ও সরকারের সর্বাত্মক সহোযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন এখানকার চাষিরা।

মৎস্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী অত্র উপজেলায় মৎস্য উৎপাদন ও আহরণের যেসব উৎস আছে তার মধ্যে রয়েছে অন্যতম হচ্ছে মৎস্য ঘের। যার বর্তমান সংখ্যা ৮ হাজার ৫৮০ টি, দীঘি এবং পুকুর রয়েছে ৪ হাজার ৩৫৩টি, বাণিজ্যিক মৎস্য খামার রয়েছে ৪টি, ভেনামী চিংড়ী খামার রয়েছে ১ টি, নদ-নদী রয়েছে ১০ টি, খাল ১৩২ টি, কাঁকড়া খামার ১৭ হাজার ৭৫ টি এবং গলদা খামার ২২৫ টি। এসব উৎস থেকে বছরে উৎপাদন হচ্ছে ২৭ হাজার মেট্রিক টন মৎস্য। যার মধ্যে চিংড়ী ৫ হাজার ৮৮৪ মেট্রিক টন, সাদা মাছ ১৮ হাজার ২৮৩ মেট্রিক টন, কাঁকড়া ৩ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন ও কুচিয়া ২০.৭৫ মেট্রিক টন। মৎস্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি সরুপ অত্র এলাকার একাধিক চিংড়ী চাষি পেয়েছেন জাতীয় মৎস্য পুরস্কার।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এর তথ্যমতে, মিঠাপানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই চীনকে টপকে বিশ্বে দ্বিতীয় এবং বদ্ধ জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। মৎস্য সপ্তাহের কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, সম্পদ সংরক্ষণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে মৎস্য খাতের অবদান আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক।

মাছে ভাতে বাঙালি এই শ্লোগানকে ধারণ করে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ দেশের মৎস্য খাতের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় নতুন দিগন্তের সূচনা করবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন।





আর্কাইভ