

বুধবার ● ১৪ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » রাজনীতি » আলোচিত শিশু আছিয়ার পরিবারকে গোয়ালঘরসহ গাভী-বাছুর হস্তান্তর করলো জামায়াতে ইসলামী
আলোচিত শিশু আছিয়ার পরিবারকে গোয়ালঘরসহ গাভী-বাছুর হস্তান্তর করলো জামায়াতে ইসলামী
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরায় ধর্ষণ ও হত্যার শিকার আলোচিত শিশু আছিয়া খাতুনের পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে প্রতিশ্রুত গোয়ালঘর, গাভী ও বাছুর হস্তান্তর করেছে মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে শিশু আছিয়ার নিজ বাড়িতে উপস্থিত হয়ে পরিবারের খোঁজখবর নেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক এম বি বাকের। এ সময় তিনি আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আছিয়ার মা আয়েশা খাতুনের হাতে বাছুরসহ একটি দুধেল গাভী ও একটি গোয়ালঘর আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-০১ আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আলহাজ্ব আব্দুল মতিন, জেলা প্রচার সেক্রেটারি মো. সাইফুল্লাহ, পৌর আমীর অধ্যাপক আশরাফুল আলম, শ্রীপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক ফখরুদ্দিন মিজান, উপজেলা সেক্রেটারি মোল্লা মিজানুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সেক্রেটারি মো. মুজাফফর হোসেন মুন্না, ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল মাজেদসহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
হস্তান্তরকালে আছিয়ার মা আয়েশা খাতুন বলেন, “আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান হুজুরের কথা অনুযায়ী বাছুরসহ একটি গাভী ও গোয়ালঘর পেয়েছি। এখন এই গরুর দুধ বিক্রি করে আমার সন্তানদের নিয়ে বেঁচে থাকতে পারব। এই সহযোগিতা আমাদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে আমি আমার মেয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচারে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি—ফাঁসি চাই।”
জেলা জামায়াত আমীর অধ্যাপক এম বি বাকের জানান, আমীরে জামায়াতের নির্দেশনা অনুযায়ী শিশুর পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে আমরা একটি গাভী ও বাছুরসহ একটি গোয়ালঘর হস্তান্তর করেছি। গাভীটি কিনতে ১,৬২,০০০ টাকা খরচ হয়েছে। এই গরু থেকে প্রতিদিন ৯-১০ লিটার দুধ পাওয়া যাবে, যা বিক্রি করে পরিবারটি আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালীতে দুলাভায়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশু আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকা শিশুটি ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন।