শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
শনিবার ● ৫ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » ভালো নেই ইপিআই পোটার কর্মীরা ; চাকুরী স্থায়ীকরণ না হওয়ায় বিপাকে জীবন-জীবিকা
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » ভালো নেই ইপিআই পোটার কর্মীরা ; চাকুরী স্থায়ীকরণ না হওয়ায় বিপাকে জীবন-জীবিকা
১২ বার পঠিত
শনিবার ● ৫ জুলাই ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ভালো নেই ইপিআই পোটার কর্মীরা ; চাকুরী স্থায়ীকরণ না হওয়ায় বিপাকে জীবন-জীবিকা

---
শাহীন আলম তুহিন ,মাগুরা থেকে : প্রতিদিন ভোর ৭টা থেকে সাইকেলের সামনে ও পিছনে ৬-৮টি ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার ঝুলিয়ে ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌছে দেয় ইপিআই পোটার কর্মীরা । জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রত্যক্ষ ভোরে তারা বেরিয়ে পড়ে দূর দূরান্তে । চাকুরি স্থায়ীকরণ না হওয়ায় সামান্য বেতনে তাদের সংসার চলে না তবুও জীবন-জীবিকার তাগিয়ে তারা কাজ করে চলে। মাগুরা সদরের ১৩টি ইউনিয়নের প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিদিন এ ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার পৌছানোর কাজ করে মাত্র ৩ জন পোটার। মাগুরা সদর থেকে এ ১৩টি ইউনিয়নের দূরত্ব ৭-৮ কিলোমিটার। এ কাজে যেখানে প্রয়োজন ৬ জন ভ্যাকসিন পোটার সেখানে এ ৩ জন কর্মীর পক্ষে কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। সদরের ভ্যাকসিন পোটারা প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টায় সদরের কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে প্রতিটি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিভিন্ন ভ্যাকসিন পৌছে দেয় তারা। আবার ব্কিাল ৪টায় কেন্দ্র থেকে পুনরায় সেই ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার নিয়ে তারা সদর কেন্দ্রে ফিরে আসে পোটার কর্মীরা । জীবন যুদ্ধে তাদের এ চাকুরি স্থায়ীকরণ না হওয়ায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে আছে বিপাকে । এ কাজে ২৪ দিনের হাজিরায় এক এক জন কর্মীকে দেওয়া হয় মাত্র ৯ হাজার টাকা । এ ভ্যাকসিন পোটাররা প্রতিদিন জীবনের ঝঁকি নিয়ে প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে  সরকারের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিসিজি টিকা,পেন্টা টিকা,পিসিবি টিকা,ওপিবি টিকা,আইপিবি টিকা,এমআর টিকা,টিটি টিকাসহ করোনার টিকা তার পৌছানোর কাজ করে তারা ।
সদরে কর্মরত ইপিআই পোটার কর্মী বাদশা মিয়া বলেন,আমি ১৯৯০ সালে এ কাজে মাষ্টার রোলে যোগদান করি । আজ ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলেও আমাদের চাকুরি স্থায়ীকরণ না হওয়াতে আমরা বিপাকে আমি । মাগুরা সদরের ১৩টি ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে আমরা ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার করি । প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭ টায় একটি সাইকেলের সামনে ও পিছনে ৬-৮টি ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার নিয়ে ৮ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে যেতে হয় প্রতিটি কেন্দ্রে । রোদ,ঝড়,বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ কাজ করছি আমরা । জীবন-জীবিকার তাগিদে সংগ্রাম করছি আমরা । মাসে ২৪ দিনের হাজিরার ব্যবধানে আমরা একজন ৯ হাজার টাকা পেয়ে থাকি । এ টাকায় সংসার চলে না । প্রতিদিন সকাল বিকাল এ বেলা আমাদের কাজ করতে হয় । তাই আমরা সরকারের কাছে দাবী রাখছি আমাদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি,বোনাস দেওয়া হোক এবং চাকুরি জাতীয় করণ করা হোক।
পোটার কর্মী জসিম ও কিবলু জানান,জীবন সংগ্রামে আমরা প্রতিদিন সকাল বিকাল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করি।  মাত্র ৩ জন কর্মীর পক্ষে সদরের ১৩টি ইউনিয়নের কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভ্যাকসিন ক্যারিয়ারের কাজ খুবই কষ্টসাধ্য । এ কাজে এখানে ৬ জন কর্মী প্রয়োজন সেখানে আমরা কাজ করছি মাত্র ৩ জন। আমরা যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি এ সমস্যার সমাধানের জন্য কিন্তু কোন ফল পাচ্ছি না । এ কাজে আমাদের সামান্য বেতন দেওয়া হয় তাতে আমাদের সংসার চলে না। দু’বেলা কাজ করে দিন চলে যায় তাই অন্য কাজ করতে পারি না । আমাদের দেওয়া হয় না বোনাস বা অতিরিক্ত কোন টাকা আমরা পায় না তাই সামান্য বেতনে নিয়ে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে আছি । একটি সাইকেলের সামনে ও পিছনে ৬টি ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার নিয়ে ভোরে আমরা ছুটে চলি কেন্দ্রে । সাইকেল চালিয়ে জীবনের ঝঁকি নিয়ে আমরা কাজ করি। তাই সরকারের প্রতি আমাদের আবেদন আমাদের চাকুরি স্থায়ীকরণ করা হোক ।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো: আফজাল হোসেন বলেন,মাগুরা সদরের ১৩টি ইউনিয়নে ৩ জন ইপিআই ভ্যাকসিন পোটার কাজ করছে। তারা স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন দাতা সংস্থার আওতায় কর্মরত। তাদের চাকুরি স্থায়ী করণ নয়। তারা কোন উন্নয়ন বা রাজস্ব খাতের কর্মী নয়। তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। প্রতিমাসে তাদের ২৪ দিনের হাজিরার সামান্য বেতন দেওয়া হয়। তাদের চাকরির ব্যাপারে তারা স্থায়ীকরণ চাইলে যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)