

রবিবার ● ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » শ্রীপুরের সোনাতুন্দী গ্রামের সড়কের বেহাল দশা,ভারী যান চলাচল বন্ধ
শ্রীপুরের সোনাতুন্দী গ্রামের সড়কের বেহাল দশা,ভারী যান চলাচল বন্ধ
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সাচিলাপুর, সোনাতুন্দী ভায়া সব্দালপুর গ্রামের সাথে সংযুক্ত সোনাতুন্দী গ্রামের পাকা সড়কটির বেহাল দশা। এ সড়কের সোনাতুন্দী গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার যান চলাচলের অনুপোযুক্ত। সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কের পিচ-পাথর উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে খোয়া মাটি। অনেক স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্ত। এতে মানুষের যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, তেমনি অসুস্থ রোগীদের বহনকারী ব্যাটারী চালিত অটো, ভ্যানে চলাচলকারী মানুষদের পোহাতে হচ্ছে দারুণ ভোগান্তি। সোনাতুন্দী গ্রামের ভ্যান চালক লোকমান হোসেন, অটো চালক জাহাম্মদ বিশ্বাস ও স্থানীয় তারাউজিয়াল গ্রামের ভ্যান চালক লিটু সোনাতুন্দী গ্রামের ঔষধ ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম, সাচিলাপুর বাজার ঔষধ ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন, মুদি দোকান ব্যবসায়ী নাজমুলসহ সাধারণ পথচারীরা জানান, প্রায় দশ বছর হতে চললো সোনাতুন্দী গ্রামের পাকা সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় সড়কের এই বেহাল দশা। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা যাতায়াত করে। সাধারণ যাত্রী, রোগী, স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধদের জন্য এ সড়কে যাতায়াত খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোনাতুন্দী গ্রাম থেকে সড়কটি শ্রীপুর উপজেলা হয়ে মাগুরা জেলার সাথে মিলেছে। অন্যদিকে সোনাতুন্দী থেকে সব্দালপুর হয়ে ওয়াপদা মহাসড়কের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সোনাতুন্দী গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের। গ্রামের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর (২০২৪) টানা ভারী বর্ষণে সোনাতুন্দী গ্রামের মাঝামাঝি সড়ক ভেঙে হানু নদীতে চলে যায়। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিস জোড়াতালি দিয়ে যান চলাচলের ব্যাবস্থা করেন। এখনো চলছে সেই জোড়াতালির রাস্তা। চলতি মাসেই ভারী বর্ষণ ও দশ চাকার ট্রাক চলাচলের কারণে সাচিলাপুর বাজার থেকে একটু সামনে সোনাতুন্দী গ্রামে প্রবেশ করতেই সড়কের সামনের প্রায় এক থেকে দেড় মিটার রাস্তা দেবে গেছে। এ বছরের মার্চ মাসে ভারী বৃষ্টিতে পানির চাপে সোনাতুন্দী গ্রামের মাঝামাঝি সড়কটির গ্রামের দুইটি খালের পাশ ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী জরুরী ভিত্তিতে বালু মাটি দিয়ে গর্ত বন্ধ করার চেষ্টা করেন। সেই সাথে সড়কটি ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করতে নদীর পাড়ে পুরনো ড্রামের বেড়া দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়। দ্রুত সংস্কার করা না হলে অত্র এলাকার মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে সেই সাথে এলাকার মানুষের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হবে।
রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী প্রসেনজিৎ চাক্রবর্তী জানান, রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে আগে যে ধারণা দেওয়া হয়েছিল এখন রাস্তাটির এক পাশ দেবে যাওয়াতে নতুন করে প্রাক্কলন প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।