শিরোনাম:
পাইকগাছা, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২

SW News24
সোমবার ● ২৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় আমনের ক্ষেতে কৃষকের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় আমনের ক্ষেতে কৃষকের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে
৩১ বার পঠিত
সোমবার ● ২৭ অক্টোবর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় আমনের ক্ষেতে কৃষকের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে

 ---খুলনার পাইকগাছায় আমনের ক্ষেতে কৃষকের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে। আমন ক্ষেত মৃদু মন্দ বাতাসে দুলছে ধানের শীষ আর  কৃষকের স্বপ্ন দুলছে মনে। সোনালী ধানের শীষ যখন বাতাসে দুলছে, তখন তা কৃষকদের মনে আনন্দ ও আশার সঞ্চার করছে। এই সময়টি কৃষকের কঠোর পরিশ্রমের ফল ঘরে তোলার এবং ভালো অর্থনৈতিক লাভের প্রত্যাশার একটি মুহূর্ত।ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে।

অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতা মোকাবেলা করে আমন আবাদে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা। অতিবৃস্টিতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার পরও পাইকগাছায় আমন ধানের ভালো ফসল হয়েছে। ধানের কাঁচা শীষ দেখে আনন্দে বুক ভরে উঠে কৃষকের মন। দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরো বিকশিত করে তুলেছে। তবে অন্যদিকে ঝড় ও বৈরী আবহাওয়ায় চাষীরা শঙ্কিত।

অতিবৃস্টি ও বৈরি আবহাওয়ার জন্য কৃষকরা সময় মত আমনের আবাদ করতে পারেনি। প্রচুর বৃস্টি হওয়ায় আমন ক্ষেত প্লাবিত হওয়ায় নাবি আবাদ করতে হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অন্য এলাকা থেকে উপকূল এলাকায় এক মাস পরে কৃষি কাজের পরিবেশ তৈরি হয়। আবহাওয়া জনিত কারণ ও মৎস্য লিজ ঘের গুলোতে দেরিতে আমনের আবাদ করা হয়। সে জন্য আমন ধান কাটাও দেরিতে শুরু হয়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৩ হাজার ৩৩০  হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৫ হাজার ছয় শত হেক্টর। অতি বৃস্টির কারণে আমন ক্ষেত প্লাবিত হওয়ায় সব জমিতে আবাদ করতে পারেনি কৃষকেরা। আমন ক্ষেতের উঁচু  জমির ৩০ ভাগ আমন ধান পুষ্ট হয়েছে আর ৭০ ভাগ নিচু ও মৎস্য লিজ ঘেরের কোন কোন আমন ক্ষেতের ধানে ফুল ফুটছে, দুধ এসেছে ও কোন ক্ষেতের ধান সবুজ রং ধারণ করেছে। তবে উচু ক্ষেতের ধান আগামী ১৫ থেকে ২০ দিন পরে এসব ক্ষেতের ধান কাটার উপযোগী হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছে।

উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর ব্লকের পুরাইকাটী ব্লকের কৃষক ফারুক হোসেন ও তোকিয়া ব্লকের কৃষক শফিকুল জানান, বৈরি আবহাওয়ার পরও তাদের ক্ষেতের আমনের ফলন ভালো হয়েছে। মটবাটি গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, তার মৎস্য ঘেরে আবাদকৃত ক্ষেতের ধান সবে ফুল ধরেছে। তাছাড়া মাজড়া পোকা লাগায় অতিরিক্ত পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: একরামুল হোসেন জানান, আমনের ফলন ভাল হয়েছে। আবহাওয়ার কারণে কৃষকদের আমন আবাদ শুরু করতে কিছুটা দেরি হলেও পরে। তবে প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না দেখা দিলে আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান তিনি।





আর্কাইভ