মঙ্গলবার ● ২৮ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » শীতকালীন আগাম সবজি চাষে লাখপতি সুশেন বালা
শীতকালীন আগাম সবজি চাষে লাখপতি সুশেন বালা
শাহীন আলম তুহিন,মাগুরা থেকে : শীতকালীন আগাম সবজি চাষে বাজিমাত করেছেন শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের হাজরাতলা গ্রামের সুশেন বালা। প্রতিবছর শীতের শুরুতে ক্ষেত থেকে ফুলকপি, বেগুন, শিমসহ নানা ধরনের সবজি তুলে বিক্রি করেন তিনি। শীতের শুরুতেই এসব সবজির দাম ভালো পাওয়া যায় বিধায় তিনি আগে থেকেই জমি প্রস্তুতি করে এসব সবজি চাষ করেন। গতবছর রঙিন ফুলকপি চাষ করে জেলায় বাজিমাত করেন সুশেন বালা। হলুদ ও বেগুনি ফুলকপি দেখতে খুবই সুন্দর। ভারত থেকে চারা সংগ্রহ করে গত বছর তিনি এ ফুলকপির আবাদ করেছিলেন। এ চাষে তিনি পেয়েছিলেন ব্যাপক ফলন। চলতি বছর তিনি চাষ করেছেন সাদা জাতের ফুলকপি। এবার শীতের আগাম ফসল হিসাবে কপি চাষ করে তিনি হয়েছেন লাখপতি।
উদ্যোক্তা কৃষক সুশেন বালা জানান, প্রতিবছর আমি আগাম শীতের সবজি চাষ করি। এজন্য শীত আসার তিন মাস আগেই আমাকে জমি প্রস্তুত করতে হয়। সংগ্রহ করতে হয় বীজ ও জৈব সার। প্রতিবছর আমার সবজি চাষে শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিস সার্বিকভাবে নানা পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাদের নানা সহযোগিতায় আমি পেয়েছি অনেক সাফল্য। এবার আগাম ফুলকপি চাষ করে আমি খুব লাভবান হয়েছি। শীতের শুরুতেই প্রথম চালানে আমি ১৬০ কেজি টাকা দরে কপি বিক্রি করি। পরবর্তীতে ১৪০ ও ১৩০ টাকায় বিক্রি করি।
তিনি আরো জানান, চলতি বছর আমি ১ একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল ফুলকপি চাষ করেছি। শ্রাবণ মাসে জমি প্রস্তুত করে আমি কফির চারা রোপন করি। চারা গাছ এক মাস পর বড় হলে এর পরিচর্যা বাড়ায়। এরপর জমিতে নিয়মিত সেচ ও জৈব সার দিই। ৬০-৬৫ দিন পর ক্ষেতের কফি পরিপক্ক হয়। এবার পরিবেশ ও আবহাওয়া ভালো থাকায় আমার ক্ষেতের কফি খুব ভালো হয়েছে। এ চাষে আমার উৎপাদন খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। আশা রাখছি এ বছর ২ লক্ষ টাকার সবজি বিক্রি হবে।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অলোক কুমার বিশ্বাস বলেন, উপজেলা কৃষকদের মান উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষকদের সাথে আমাদের কাজ করতে হয়। আমরা এ উপজেলার কৃষকদের মাঝে আগাম শীতকালীন সবজির বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করেছি। চলতি বছর এ উপজেলায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে ২ হেক্টর। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলার কৃষকদের আগাম শীতকালীন সবজি খুব ভালো হয়েছে। এবার আগাম শীতকালীন সবজি চাষে বেশ লাভবান হয়েছে কৃষক ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় কৃষকদের আগাম শীতকালীন সবজি বাম্পার হয়েছে। ইতিমধ্যেই শীত কালীন সবজি ফুলকপি, সিম, বরবটি, ঢেঁড়স, বাঁধাকপি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। আগাম এসব ফসল বিক্রি করে কৃষক হয়েছেন লাভবান। এবার চলতি বছর জেলায় ১১৪০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। এ বছর আমরা জেলায় ১ হাজার ৬৮০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল সবজির বীজ বিতরণ করেছি। আশা রাখছি আগামীতে আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষক পরিপূর্ণভাবে সবজি উত্তোলন করে বাজার বিক্রি করে আরো লাভবান হবে।






পাইকগাছায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষার ক্ষেত
পাইকগাছায় আগাম বোরো আবাদের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক
কেশবপুরে তুলার আবাদে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে চাষীরা
মাগুরায় ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক
পাইকগাছায় আমন ধান কাটা উৎসব শুরু
পাইকগাছায় আপনা আপনি জন্ম নেয়া একটি ডাট শাক ৯ ফুটের বেশী উচু হয়েছে
পাইকগাছায় হলুদ চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক
কেশবপুরে ড্রাগন চাষে সাড়া ফেলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা নান্টু সাহা
পাইকগাছায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো ধানের বীজ বিতরণ
অগ্নিশ্বর কলা চাষে নজর কেড়েছেন অলক বিশ্বাস 