শিরোনাম:
পাইকগাছা, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
রবিবার ● ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় গমের আবাদ কমে গেছে
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় গমের আবাদ কমে গেছে
৫৪৫ বার পঠিত
রবিবার ● ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় গমের আবাদ কমে গেছে

---
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
চলতি মৌসুমে পাইকগাছায় গমের আবাদ অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। ধানের মূল্য বৃদ্ধি ও বোরো আবাদ বেশি হওয়ায় গমের আবাদ কমে গেছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৬০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। যা বিগত বছরে ছিল ৩৮০ হেক্টর। ধানের মূল্য বৃদ্ধি ও বোরো আবাদ বৃদ্ধি পাওয়ায় গমের আবাদ কমেছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছেন। উপজেলার গদাইপুর, কপিলমুনি, হরিঢালী ও রাড়–লী ইউনিয়নে গমের আবাদ হয়। উপজেলায় এ সব ক্ষেতে বারি জাতের গম ২৫, ২৬ ও ২৮ জাতের বেশি বপন করা হয়েছে। এ সকল জাত তাপ সহিষ্ণু ও পাতা ঝলসানো রোগ সহনশীল। গম বপন করার পর থেকে ১শ দিন থেকে ১০৮ দিনের মধ্যে ফলন ঘরে তোলা যায়। এর ফলন প্রায় হেক্টর প্রতি ৫ টন পর্যন্ত হয়। অল্প খরচ ও কম পরিশ্রমে গমের আবাদ করা যায়। গম বপনের পর এক থেকে দুইটির বেশি সেচ লাগে না। ক্ষেতের আগাছা পরিচর্যা করতেও খরচ কম হয়। উপজেলার পুরাইকাটী গ্রামের কৃষক শহিদুল জানান, গম চাষে পরিশ্রম কম হলেও খরচ কম হচ্ছে না। গম চাষে যে পরিমান খরচ হয়, বিক্রির সময় সে টাকা ফিরে আসে না। তাছাড়া গম ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অনেক কৃষক গমের আবাদ ছেড়ে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, ধানের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বোরো আবাদ বেড়েছে। তাছাড়া শেষ সময় প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় নিচু জমি গম চাষের উপযুক্ত না হওয়ায় সে সব জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ব্লকের গম আবাদের পরিচর্যার বিষয়ে সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ সার্বক্ষনিক তাদরকি ও পরমর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের। উপজেলায় আবাদকৃত গমের ফলন ভাল পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)