শিরোনাম:
পাইকগাছা, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ১৭ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি মাগুরায় কাঁচা মরিচের সেঞ্চুরি
প্রথম পাতা » কৃষি » বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি মাগুরায় কাঁচা মরিচের সেঞ্চুরি
৪৭৯ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১৭ আগস্ট ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি মাগুরায় কাঁচা মরিচের সেঞ্চুরি

---

মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরায়  সেঞ্চিুরি করল কাঁচা মরিচের দাম। বিভিন্ন পাইকারি বাজারে  বুধবার সকালে  প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আর খুচরা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম ১২০ টাকার ওপরে।ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকামে সরবরাহ কম থাকায় তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

তা ছাড়া কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে উৎপাদন মারাত্মক কমে গেছে। এর প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।গত এক মাস আগে প্রতি কেজি দেশি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সেই কাঁচা মরিচ কেজি এখন বাজার ও মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কাঁচা মরিচের দাম  এখন সাধারণ মানুষের  নাগালের বাইরে। আকাশচুম্বি দামের কারণে বেকায়দায় পড়েছেন নিন্ম আয়ের লোকজন। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, অবিরাম বর্ষণে মরিচ ক্ষেতে  জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।   এতে গোড়া ছত্রাক আক্রান্ত হয়ে গাছ মরে গেছে। যে গাছ বেচে আছে তাতে ফলন মারতœক কমে গেছে। মরিচের উৎপাদন স্বাভাবিক হতে আরো  ১৫-২০ দিন সময় লাগতে পারে। জেলা সদরের বাসিন্দা দরিদ্র কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ভাত কডা কম খাওয়া যায়। মরিচতো কম খাওয়া য়ায় না। যা আয় করি তাদে মরিচ কিনতি গিলি আর থাহে না কিছু। মাগুরার নতুন বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ফসিয়ার রহমান বলেন, কাঁচা মরিচের বাজার কিছু দিন স্থীতিশীল থাকার পর আবার বাড়তে শুরু করেছে। সদরের বেলনগর গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী বলেন,‘ জেলা সদরে বেশি মরিচের আবাদ হয়। মরিচ থেকে এই এলাকার কয়েক হাাজার কৃষক লাভবান হন। এবার মরিচ গাছ মরে যাওয়ায় তাদের সব শেষ।জেলর চারটি উপজেলায় এবার ৮৩০ হেক্টরে মরিচের আবাদ গয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৫৭৫ হেক্টর, মহম্মদপুরে ৮০হেক্টর, শ্রীপুরে ১৫০হেক্টর ও শালিখায় ২৫হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। জেলায়  উন্নত স্থানীয় জাতের পাশাপাশি টেঙ্গাখালী (স্থানীয়) জাতের মরিচের ব্যাপক আবাদ হয়।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে জেলায় ৪২হেক্টর জমির সম্পূর্ণ ও ১৫হেক্টর জমির মরিচ আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে কৃষকেরা দাবি করেছেন এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)