শিরোনাম:
পাইকগাছা, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩২

SW News24
সোমবার ● ১৭ নভেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় আমন ধান কাটা উৎসব শুরু
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় আমন ধান কাটা উৎসব শুরু
৩১ বার পঠিত
সোমবার ● ১৭ নভেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় আমন ধান কাটা উৎসব শুরু

---প্রকাশ ঘোষ বিধান (খুলনা) পাইকগাছা ঃ  বাঙালির প্রধান অন্ন, আমন ধান কাটার এখন মাহেন্দ্র সময়। খুলনার পাইকগাছায় অগ্রহায়ণের শুরু থেকে আমন ধান কাটা, ঝাড়াই ও মাড়াই শুরু হয়েছে। এসব কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষক ও শ্রমিকেরা। কৃষিভিত্তিক সভ্যতার পুরোভাগে থাকা এই নবান্ন উৎসব অনাদি কাল থেকে বাঙালির জীবন অধিকার করে আছে। মূলত নতুন ধান কাটা আর সেই সঙ্গে প্রথম ধানের অন্ন খাওয়াকে কেন্দ্র করে পালিত হয় এই উৎসব। বিশেষ করে পিঠা উৎসব।

অতি বৃস্টিতে বার বার বীজ তলা নষ্ট হওয়ার পরও পাইকগাছায় আমন ধানের আশানারুপ ফলন হয়েছে। আমন ধান কর্তন শুরু হয়েছে। উঁচু ক্ষেতের আমন ধান কর্তন ও ঝাড়াই চলছে। তবে নিচু ও মৎস্য লিজ ঘেরের কোন আমন ক্ষেতের ধান সবুজ রং ধারণ করেছে মাত্রে। ২০ থেকে ২৫ দিন পরে এসব ক্ষেতের ধান কাটার উপযোগী হবে। উচু ক্ষেতের ধান আগামী ১০/১২ দিনের মধ্যে কাটা সম্পন্ন হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছে।

বৈরি আবহাওয়ার জন্য কৃষকরা সময় মত আমনের আবাদ করতে পারেনি। কৃষকরা সময়মত কিছু ক্ষেতে আমন চারা রোপন করেতে পেরেছিলো, প্রচুর বৃস্টিতে বীজ তলা নষ্ট ও জলবদ্ধতার কারণে আমন আবাদ নাবি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অন্য এলাকা থেকে উপকূল এলাকায় এক মাস পরে কৃষি কাজের পরিবেশ তৈরি হয়। আবহাওয়া জনিত কারণ ও মৎস্য লিজ ঘের গুলোতে দেরিতে আমনের আবাদ করা হয়। সে জন্য আমন ধান কাটাও দেরিতে শুরু হয়। নতুন আমন ধান আশানারূপ দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আমন ধান মন প্রতি সাড়ে ১৪শ থেকে সাড়ে ১৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের থেকে বিচুলীর চাহিদা থাকায় কৃষকরা বেশী লাভবান হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি এ মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মৌসুমে উপজেলায় ১৩ হাজার ৩শ ৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলায় উঁচু ক্ষেতের মাত্র শতকরা ১৫ জমির ধান কাটা হযেছে। কর্তনকৃত ধানের হেক্টর প্রতি ফলন গড় ৪.৮ মেট্রিকটন হারে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। আর নাবিতে লাগানো ক্ষেতের ৭০ ভাগ ধান এখনও কাঁচা রয়েছে।

উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর ব্লকের কৃষক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, তার ক্ষেতে বিঘা প্রতি প্রায় ১৮ মন করে ফলন হয়েছে। পুরাইকাটী ব্লকের কৃষক ফারুক হোসেন ও তোকিয়া ব্লকের কৃষক শফিকুল জানান, বৈরি আবহাওয়ার পরও তাদের ক্ষেতের আমনের ফলন ভালো হয়েছে। মটবাটি গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, তার মৎস্য ঘেরে আবাদকৃত ক্ষেতের ধান সবে দুধ হয়েছে। তাছাড়া দেরিতে আবাদ করা ক্ষেতে মাজড়া পোকা লাগায় অতিরিক্ত পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেতের ধানে চিটার পরিমানও বেশী হচ্ছে। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ একরামুল হোসেন জানান,অতি বৃস্টির কারণে উপজেলায় আমনের আবাদ কম হয়েছে। কৃষকদের আমন আবাদ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। আমন ধান সবেমাত্র কাটা শুরু হয়েছে। কর্তনকৃত আমন ধানের ফলন ভাল পাওয়া যাচ্ছে।





আর্কাইভ